১০১৪ রানে চাপা পড়া ইংরেজদের পিষলেন আকাশরা, তাও বাংলাদেশকে টপকাতে পারবে না ভারত!

এজবাস্টনে ঐতিহাসিক টেস্ট জিততে সাত উইকেট চাই ভারতের। লিডসে জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরে এজবাস্টনে জিততে মরিয়া শুভমন গিলরা। আকাশদীপ এবং মহম্মদ সিরাজরা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। এখনও পর্যন্ত এজবাস্টনে ১৩টি উইকেট পড়েছে ইংরেজদের। ১৩টিই নিয়েছেন সিরাজ বা আকাশদীপ।

Published on: Jul 05, 2025 11:22 PM IST
By | Written by
Share
Share via
  • facebook
  • twitter
  • linkedin
  • whatsapp
Copy link
  • copy link

এজবাস্টনে নয়া ইতিহাস লিখতে আর সাতটি উইকেট চাই ভারতের। তাহলেই ইতিহাসে প্রথমবার ‘অপয়া’ এজবাস্টনে টেস্ট জয়ের স্বাদ পাবে টিম ইন্ডিয়া। আর চতুর্থ দিনের শেষে ভারত যে সেই জায়গায় আছে, সেটার নেপথ্যে ভারতীয় ব্যাটার এবং বোলারদের মিলিত অবদান আছে। প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের বিশাল লিড পাওয়ার পরে ছয় উইকেটে ৪২৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন শুভমন গিল। ৫৮ বলে ৬৫ রান করেন ঋষভ পন্ত। অপরাজিত ৬৯ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। সেই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের সামনে চতুর্থ ইনিংসে ৬০৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে টিম ইন্ডিয়া।

আকাশদীপের জাদু বলে মাথানত বেন ডাকেটের। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
আকাশদীপের জাদু বলে মাথানত বেন ডাকেটের। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

তবে ভারত চতুর্থ ইনিংসে এর থেকেও বেশি রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করেছিল। ২০০৯ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডকে ৬১৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড এর থেকেও বেশি রান তাড়া করেছিল সেই ১৯৩৪ সালে। সময়হীন টেস্টে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করেছিল ইংল্যান্ড। ইংরেজরা সেই টেস্টে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিউয়িদের বিরুদ্ধে ওয়েলিংটনে ড্র করেছিলেন গৌতম গম্ভীররা।

ভারতীয় পেসারদের ত্রিফলায় বিদ্ধ ইংরেজরা

আর সেই গম্ভীরের কোচিংয়ে এজবাস্টনে জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে ভারত। কারণ নয়া বলে দুর্দান্ত বোলিং করেন ভারতীয় পেসাররা। বেন ডাকেট এবং জো রুটকে দুটি দুর্ধর্ষ বলে আউট করেন আকাশদীপ। রুটকে যেভাবে বোল্ড করেন, সেটা তো সিরিজের এখনও পর্যন্ত সেরা বল। সিরাজ প্রথম উইকেট নেন। আবার প্রসিধ কৃষ্ণ উইকেট না পেলেও একাধিক সুযোগ তৈরি করেন।

আরও পড়ুন: ২৬৯ ও ১৬১ রান- একই টেস্টে ৪৩০ করে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিলেন গিল, গড়লেন ২২ নজির

তাঁদের ত্রিফলায় চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়িয়েছে তিন উইকেটে ৭২ রান। জয়ের জন্য ইংরেজদের আরও ৫৩৬ রান চাই। ক্রিজে আছেন হ্যারি ব্রুক (১৫ রান) এবং ওলি পোপ (২৪ রান)। অন্যদিকে ভারতের হয়ে সিরাজ পাঁচ ওভারে ২৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। আট ওভারে ৩৬ রান দিয়ে দু'উইকেট নেন আকাশদীপ। তাও দিনের শেষ ওভারে ১৩ রান খরচ করেন। আর তিন ওভারে ছয় রান দিয়েছেন।

একই টেস্টে দলগত সর্বোচ্চ রান (সবমিলিয়ে)

১) ১,১২১ রান: ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কিংসটন, ১৯৩০ রান।

২) ১,০৭৮ রান: পাকিস্তান বনাম ভারত, ফয়জালাবাদ, ২০০৬ সাল।

৩) ১,০২৮ রান: অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, ওভাল, ১৯৩৪ সাল।

৪) ১,০১৪ রান: ভারত বনাম ইংল্যান্ড, এজবাস্টন, ২০২৫ সাল।

৫) ১,০১৩ রান: অস্ট্রেলিয়া বনাম বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৬৯ সাল।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: রোহিত হলেন ভারতীয় দলের ‘জেঠানি’… পন্তের মজার মন্তব্য শুনে হেসে ফেললেন গম্ভীর

একই টেস্টে ভারতের দলগত সর্বোচ্চ রান (সবমিলিয়ে)

১) ১,০১৪ রান: বনাম ইংল্যান্ড, এজবাস্টন, ২০২৫ সাল।

২) ৯১৬ রান: বনাম অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ২০০৪ সাল।

৩) ৯১০ রান: বনাম পাকিস্তান, বেঙ্গালুরু, ২০০৭ সাল।

৪) ৮৭৫ রান: বনাম ইংল্যান্ড, রাজকোট, ২০২৪ সাল।

৫) ৮৪৮ রান: বনাম ইংল্যান্ড, নটিংহ্যাম, ২০১৪ সাল।

আরও পড়ুন: শতরান করে ইতিহাস গিলের, গড়লেন আরও ৩ নজির, ‘মিনি’ ধস রুখে ভারতকে টানলেন জাদেজাও

টেস্টে সবথেকে বড় ব্যবধানে জয় (রানের নিরিখে)

১) ৬৭৫ রান: ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯২৮ সাল।

২) ৫৬২ রান: অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৩৪ সাল।

৩) ৫৪৬ রান: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, ২০২৩ সাল।

উল্লেখ্য, রানের নিরিখে টেস্টে সবথেকে বড় ব্যবধানে ভারত জিতেছে ৪৩৪ রানে। ভারতের সামনে সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ আছে এজবাস্টনে। তবে বাংলাদেশের রেকর্ড অক্ষত থাকল।

News/News/১০১৪ রানে চাপা পড়া ইংরেজদের পিষলেন আকাশরা, তাও বাংলাদেশকে টপকাতে পারবে না ভারত!