Subscribe Now! Get features like





মঙ্গলবার আমদাবাদে আরসিবির শুরুটা ভালো হয়নি। ১০ নম্বর বলেই ফিল সল্টকে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয়। পিছন দিকে ফিরে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শ্রেয়স আইয়ার। যে ক্যাচটা ফাইনালে যেন পঞ্জাবের ছন্দ তৈরি করে দেয়। বোলাররাও বাড়তি উন্মাদনা পেয়ে যান। নিখুঁত পরিকল্পনায় বল করে তাঁরা আরসিবিকে সেই অর্থে কোনও ভয়ংকর জুটি গড়ে তুলতে দেননি। সেটার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৯০ রানের বেশি তুলতে পারেনি আরসিবি।

আরও পড়ুন: Virat Kohli on winning IPL 2025: 'কখনও ভাবিনি যে এই দিনটা আসবে, বাচ্চার মতো ঘুমাব', IPL জিতে কেঁদে ফেললেন বিরাট!
আরসিবি ব্যাটারদের মধ্যে পঞ্জাবের ব্য়াটারদের মধ্যে একমাত্র ভয় ধরাতে সক্ষম হন জিতেশ শর্মা। যিনি ১০ বলে ২৪ রান করেন। তিনি আরও কিছুটা থাকলে আরসিবির রানটা ২০০-র গণ্ডি পেরিয়ে যেত। কিন্তু সেটা হয়নি। আরসিবির হয়ে ৩৫ বলে ৪৩ রান করেন বিরাট কোহলি। ১৮ বলে ২৪ রান করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ১৫ বলে ২৫ রান। রোমারিও শেফার্ড নয় বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘রান-আউট’ থেকে ওয়াইড- শেষ বলে চরম নাটক, ১ উইকেটে জিতে ODI-তে ইতিহাস নেপালের
আর পঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান আর্শদীপ সিং এবং কাইল জেমিসন। জেমিসন চার ওভারে খরচ করেন ৪৮ রান। আর্শদীপ ৪০ রান খরচ করেন। তাছাড়া একটি করে উইকেট পান যুজবেন্দ্র চাহাল, বিজয়কুমার বিশাক এবং আজমাতুল্লা ওমরজাই। সেই পাঁচজনের মিলিত চেষ্টায় আরসিবি প্রয়োজনীয় রানের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ রান তোলে বলে মনে করা হচ্ছিল।
তবে শেষপর্যন্ত ১৯০ রানই যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হল। পঞ্জাবের দুই তরুণ ব্যাটার শুরুটা ভালো করলেও তৃতীয় ওভার থেকে খেলায় কিছুটা ফিরতে থাকেন আরসিবি বোলাররা। তবে প্রথম উইকেটটা আসে কিছুটা পরে। বাউন্ডারি লাইনে সল্টের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়ে যান প্রিয়াংশ আর্য। তারপর জোশ ইংলিস এবং প্রভসিমরন সিংয়ের মধ্যে একটা জুটি গড়ে উঠলেও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। যিনি শেষপর্যন্ত চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে দু'উইকেট তুলে নেন।
সপ্তম ওভারে ক্রুণাল মাত্র তিন রান খরচ করেন। আর নবম ওভারের তৃতীয় বলে আউট করে দেন প্রভসিমরনকে। পরের ওভারেই একটা অলস শট খেলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের নায়ক শ্রেয়স (এক রান)। তার জেরে ৭২ রানে এক উইকেট থেকে ৭৯ রানে পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ৭৯ রান। স্কোরবোর্ডে পঞ্জাব আরও ১৯ রান যোগ করতে না করতেই ইংলিসকে ফেরত পাঠিয়ে দেন ক্রুণাল।
আরও পড়ুন: RCB vs PBKS IPL 2025 Final: স্ট্রাইক রেট মোটে ১২৩? বিরাটকে কটাক্ষ ইরফানের, জিতেশের ‘গলি’ শটে উত্তাল আমদাবাদ
সেই পরিস্থিতিতে জয়ের জন্য ৪৭ বলে ৯৩ রান দরকার ছিল পঞ্জাবের। হাতে ছিল সাত উইকেট। রিকোয়ার্ড রানরেট ছিল ১২-র কাছাকাছি। সেখান থেকে জয়ের জন্য মারকুটে ইনিংস খেলতে হত সবাইকে। শশাঙ্ক সিং চেষ্টা করলেও নেহাল ওয়াধেরা ছিটেফোঁটাও ছন্দ পাচ্ছিলেন না। মোটে ১৮ বলে ১৫ রান করেন তিনি। সেখান থেকে আর সামলে উঠতে পারেনি পঞ্জাব। ৩০ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থেকেও পঞ্জাবকে জেতাতে পারেননি শশাঙ্ক।
১) ২০০৯ সাল: ডেকান চার্জার্সের কাছে ছয় রানে পরাজিত।
২) ২০১১ সাল: চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৫৮ রানে পরাজিত।
৩) ২০১৬ সাল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে আট রানে পরাজিত।
৪) ২০২৫ সাল: আইপিএল চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
১) ২০১৪ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে তিন উইকেটে পরাজিত।
২) ২০২৫ সাল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে পরাজিত।
১) চ্যাম্পিয়ন দল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২০ কোটি টাকা)।
২) রানার্স-আপ: পঞ্জাব কিংস (১২.৫ কোটি টাকা)।
৩) তৃতীয় স্থানাধিকারী: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
৪) চতুর্থ স্থানাধিকারী: গুজরাট টাইটানস।
৫) অরেঞ্জ ক্যাপ: সাই সুদর্শন (গুজরাট টাইটানস, ৭৫৯ রান)
৬) পার্পল ক্যাপ: প্রসিধ কৃষ্ণা (গুজরাট টাইটানস, ২৫ উইকেট)।
আঠারোর উপাখ্যান লিখলেন ক্রিকেট দেবতা। ফাইনালে শ্রেয়স আইয়ারের পঞ্জাব কিংসকে ছয় রানে হারিয়ে আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুমে প্রথমবার আইপিএল জিতল 'নম্বর ১৮' বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সেই ২০০৮ সাল থেকে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে বিরাটের যে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল, তাতে কোহলি কখনও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ পাননি। ট্রফির জন্য আরসিবি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। তাঁকে পেতে মুখিয়ে ছিল অসংখ্য দল। কিন্তু ট্রফি জয়ের থেকে বরাবরই আনুগত্যকে এগিয়ে রাখেন বিরাট। আর সেই আনুগত্যের দাম না দিয়ে পারলেন না ক্রিকেট দেবতা। তারপর চোখে জল চলে এল বিরাটের।






