Subscribe Now! Get features like





সেই নাটক আরও চরমে ওঠে পঞ্চম বলের পরে। আঙুলে লেগেছে বলে দাবি করে ফিজিয়োকে ডেকে নেন ক্রলি। তাতে আরও চটে যান ভারতীয় খেলোয়াড়রা। কটাক্ষ করে হাততালি দিতে থাকেন তাঁরা। সেইসময় গিলের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় ক্রলি এবং ডাকেটের। বাকি ভারতীয় খেলোয়াড়রাও ঘিরে ধরেন। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। স্পিরিটের জ্ঞান দিতে থাকা ইংরেজদের সময় নষ্টের পরিকল্পনা সফল হয়। এক এভারের বেশি বল করতে পারেনি ভারত।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের ৩৮৭-র জবাবে ৩৮৭ রান করল ভারত! ইতিহাসে কতবার ‘টাই’ হল? জিতলেই রেকর্ড
আর সেই ঘটনায় আম্পায়ারদের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনিতেও এই টেস্টের রাশ আম্পায়াররা কতটা নিজেদের হাতে রাখতে পেরেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বুমরাহের ওভারের সময় উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। লেগ আম্পায়ার ছিলেন পল রাইফেল।
আরও পড়ুন: ১০০ রানে আউট ১০০ বার- উদ্ভট রেকর্ড রাহুলের, লর্ডসে গড়লেন আরও ৬ নজির, কী কী?
প্রশ্ন উঠছে যে নির্ধারিত সময়ের পরেও তাঁরা কীভাবে ইংরেজরা ব্যাট করতে নামতে দিলেন? আর যখন ইচ্ছা করে ইংরেজরা সময় নষ্ট করছিলেন, তখন কোনও পদক্ষেপ করেননি কেন? ইংল্যান্ড তো সময় নষ্টের চেষ্টা করবেই, তাঁরা কেন মুখে কুলুপ বেঁধে বসে থাকলেন?
ইংল্যান্ডের ইচ্ছা করে সময় নষ্টের কৌশল, ভারতীয় খেলোয়াড়দের রুদ্ররূপ- সেই দুইয়ের মেলবন্ধনে তৃতীয় দিনের শেষ পাঁচ মিনিটে উত্তাপ ছড়াল লর্ডসে। রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হল ইংরেজ ওপেনার এবং ভারতীয় ফিল্ডারদের মধ্যে। বিশেষত কথার আগুনেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জ্যাক ক্রলিকে পুড়িয়ে খাক করে দেন শুভমন গিল। ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে জ্ঞান দিতে থাকা ইংরেজরা আরও বেশি বল খেলার ভয়ে এমনভাবে সময় নষ্ট করতে থাকেন যে গিলও গালিগালাজ করেন। ইংরেজদের ঘিরে ধরেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। এমনই পরিস্থিতি হয় যে প্রথম ওভারের শেষ বলটা খেলে মুখ ঘুরে পড়িমড়ি করে পালিয়ে যান ক্রলি। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁদের সময় নষ্টের কৌশল সফল হয়েছে। তৃতীয় দিনে এক ওভারের বেশি খেলতে হয়নি ইংল্যান্ডকে।
আর দিনভর ফিল্ডিং করার পরে তৃতীয় দিনে যাতে এক ওভারই খেলতে হয়, সেজন্য প্রথম থেকেই নাটক করতে থাকেন ইংরেজরা। ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পরে চেঞ্জ ওভারের জন্য ১০ মিনিট বরাদ্দ ছিল। যাতে এক ওভারের বেশি খেলতে না হয়, সেজন্য হেলতে-দুলতে ক্রিজে আসতে থাকেন দুই ইংরেজ ওপেনার ক্রলি এবং বেন ডাকেট। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু'মিনিট পরে খেলা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বউকে ইন্টারভিউ দিতে পারবে ভেবেই বারবার ৫ উইকেট নিচ্ছো? বুমরাহকে ইয়র্কার সঞ্জনার
তারপর শুরু হয় আসল নাটক। জসপ্রীত বুমরাহ যখন তৃতীয় বল করতে আসছিলেন, তখন স্ট্রাইক থেকে সরে যান ক্রলি। তাতে রেগে আগুন হয়ে যান ভারতীয়রা। স্লিপ থেকে এগিয়ে এসে গালিগালাজ করেন গিল। গরম-গরম কথা শোনান মহম্মদ সিরাজরাও। তাতে ক্রলি অবশ্য তেমন পাত্তা দেননি। বরং সময় নষ্টের খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।






